বিটরুট গুঁড়া খাওয়ার নিয়ম
সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস পানির সাথে ১ চা চামচ বা ৪ গ্রাম বিটরুট গুঁড়া মিশিয়ে খেলে সব থেকে ভাল উপকার পাওয়া যায়।১টি কৌটায় ২০০ গ্রাম বিটরুট গুঁড়া থাকবে যা প্রতিদিন ৪ গ্রাম করে ৫০ দিন খাওয়া যাবে।

দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে গবেষকরা জানিয়েছেন, অজৈব নাইট্রেট এবং বিটরুটের রসের পরিপূরক সিস্টোলিক রক্তচাপকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে।
রক্তস্বল্পতা কমাতে নিয়মিত ১ গ্লাস বিটের জুস খেতে পারেন। এতে বিদ্যমান আয়রন হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে।অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস হওয়ায় বিট জুস রক্তশূন্যতা রোধ করে। এটি খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি১২-ও পাওয়া যায়।যাঁরা রক্তাল্পতায় আক্রান্ত, তাঁরা লেবুর রস দিয়ে বিটের জুস পান করুন।
এক কাপ বিটরুটে প্রায় ৩.৪ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। তাই বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের প্রদাহে নিয়মিত বিট খেলে বেশ উপকার মেলে। হজমের সমস্যায় ভুগলে বিট খাওয়া উপকারী। কারণ বিট আঁশ জাতীয় খাবার। বিটে থাকা ফাইবার খাবার হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডাইভার্টিকুলাইটিস এমনকি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষণা বলছে, নিয়মিত এক গ্লাস বিটের জুস রক্তনালিতে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।বিট হার্টের জন্য খুবই উপকারী।নিয়মিত বিট রুট জুস খেলে হার্ট ভালো থাকে।প্রতিদিন খেলে বিট হার্ট থাকবে ফিট।
জ্বর, সর্দি, কাশি এখন ঘরে ঘরে। এই সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও শরীর চাঙ্গা রাখতে নিয়ম করে বিটের জুস খেতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন এক গ্লাস বিটের জুস খেলে ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি-এজিং উপাদান ব্রণ, বলিরেখা, মেছতা দূর করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।বীটে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন C ত্বকের ক্ষত মেটাতে সক্ষম।এছাড়াও ত্বকে অকাল কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে বীটের জুস।
© 2024 ashshifaorganic.com